লন্ডন

লন্ডন বাস্তবেই পর্যটকদের স্বর্গ। এখানে কত জিনিস যে বিনা খরচে পাওয়া যায় তা দেখে আপনি অবাক হবেন, যা আপনি সারা জীবন প্রত্যাশা করে এসেছেন।

ব্রিটিশ মিউজিয়াম
 এই জাদুঘরটি বিশ্বে সবচেয়ে নামীগুলোর একটি। সাত মিলিয়নের বেশি ঐতিহাসিক আর সাংস্কৃতিক নিদর্শন এখনে স্থান পেয়েছে, একবার এলে আপনি আবার আসতে চাইবেন। সময়ঃ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা।

টেইট মডার্ন
বর্তমান বিশ্বে আধুনিক চিত্রকলার অন্যতম বিশাল সংগ্রহ রয়েছে টেইট মডার্নে। পুরনো আর নতুনের এক সেতুবন্ধন গড়ে উঠেছে এখানে। সময়ঃ রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা, শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা।

পার্লামেন্ট
আপনি যদি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কার্যক্রম দেখতে চান তাহলে এটাই আপনার সুবর্ণ সুযোগ। সেখানে একটি পাবলিক গ্যালারি আছে, এখান থেকেই আপনি এখানকার উত্তপ্ত বিতর্ক দেখতে পাবেন। এজন্য আপনাকে সেইন্ট স্টিফেনসে এসে খুব সকাল সকাল কিউতে দাঁড়াতে হবে। সময়ঃ পার্লামেন্ট অধিবেশন কালীন দিবসে সাধারনত বিতর্ক শুরু হয় বিকাল ২.৩০।

বারো মার্কেট
সাধারন মানুষ একে “লন্ডন’স লার্ডার” বলে থাকে, প্রায় আড়াই শ’ বছর ধরে বারো মার্কেট এখানে বসছে, এটি মহানগরটির সবচেয়ে পুরনো খাবারের বাজার। এখানে বেড়াতে কোন পয়সা দিতে হয় না তবে খাবার খেতে চাইলে আপনাকে খরচ করতে হবে। সময়ঃ প্রতি শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাল ৫টা আর প্রতি শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা।

ন্যাশনাল মিউজিয়াম
ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ২৩০০র বেশী কলাকৃতি আছে, এখানে সেযান থেকে ভ্যেবগোঘের, দা ভিঞ্চি থেকে রেমব্রান্টের সৃষ্টি আছে। ঢোকার পয়সা লাগবে না। সময়ঃ শনি থেকে বৃহঃবার ১০টা থেকে ৬টা এবং শুক্রবার ১০টা থেকে ৯টা।

হ্যাম্পস্টেড হিড
৭৯০ একরের বিস্তীর্ণ সবুজের প্রাচুর্য দেখতে হলে আপনাকে হ্যাম্পস্টেডে আসতে হবে, এটি এই মহানগরের ফুসফুস। সঙ্গে খাবার নিয়ে এসে ঘাসের ওপর সারাটা দিন কাটাতে পারেন অথবা আশাপাশে স্রেফ পায়চারী করে, হাসকে খাবার খাইয়ে, ঘুড়ি ওড়িয়ে, ঘুমিয়ে বা শুধু মানুষ দেখেই দিন কাটিয়ে দিতে পারেন। সময়ঃ বছরের যে কোন সময়।

বাকিংহাম প্রাসাদ
রানী লন্ডনে থাকলে এখানেই বাস করেন। তিনি যদি এখানে থাকেন তাহলে প্রাসাদের মাথায় রাজকীয় পতাকা উড়তে দেখবেন।

উনজার প্রাসাদ
কেউ বসবাস করে এমন প্রাসাদের মধ্যে এটি বিশ্বে সবচেয়ে পুরনো। জমকালো এই প্রাসাদে ৪৫০টি চাবি দেয়া ঘড়ি আছে।

ওয়েস্ট মিনষ্টার এবি
এই প্রাচীন গির্জাটিতে রাজ পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, বর্তমান বানীর বিয়ে এখানে হয়েছিল। প্রিন্স উইলিয়াম আর কেইট মিডলটনের বিয়েও এখানে হয়েছিল।

টেমস নদ
লন্ডন শহরের বুকের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে এই নদীটি। এই নদীর ওপর অনেকগুলো বিখ্যাত ব্রিজ আছে।

লন্ডন আই
এটা সম্ভবত লন্ডন শহরের সবচেয়ে চোখে পড়ার মত একটি বিষয়, বিশাল এই ফেরিস হুইলটি এতোটাই উঁচু যে লেজ থেকে লেজে পাঁচটি নীল তিমিকে রাখলে এর সমান হবে!

গ্রিনিচ
নৌকায় চড়ে গ্রিনিচ গিয়ে অলানোতোরিয়াম, ন্যাশনাল মেরিটাইম মিউজিয়াম, রয়েল অবজারভেটরি এবং প্রাইম মেরিডিয়ান (পৃথিবীর মূল মধ্যরেখা) অবশ্যই দেখে আসবেন।

মন্তব্যসমূহ