শ্রীলঙ্কা ভ্রমন

দেশটির অসাধারন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংবলিত সমূদ্রসৈকত ও ভূদৃশ্য, তাছাড়া সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সারা বিশ্বের পর্যটকদেরকে অত্যন্ত আকর্ষন করে। পৃথিবীর সকল সুন্দর পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।

কিভাবে যাবেন
আপনি ঢাকা থেকে বিমানে সরাসরি শ্রীলঙ্কা যেতে পারবেন। টুরিস্ট ভিসার জন্য ঢাকার গুলশানে অবস্থিত শ্রীলঙ্কান দূতাবাসে আবেদন করতে হবে। টুরিস্ট ভিসার ফি ২০০০ টাকা, মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস। দূতাবাসের ঠিকানা- বাড়ি নং # ৪/এ, রোড # ১১৩, গুলশান মডেল টাউন, ঢাকা-১২১২। ফোনঃ +৮৮ ০২ ৯৮৯৬৩৫৩।
প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রঃ জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটের দুই কপি ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের (৪.৫ সে. মি.* ৩.৫ সে. মি.) রঙিন ছবি ৩ কপি, জাতীয় পরিচয় পত্রের দুই কপি ফটোকপি।

এয়ারপোর্ট থেকে নেমে ট্যাক্সি করে চলে যাবেন আপনার গন্তব্য হোটেলে। হোটেল খরচ বাংলাদেশের তুলনায় কিছুটা বেশী।

যা যা দেখবেন
রাক্ষস রাজা রাবনের দেশে টুরিষ্টদের জন্য রয়েছে অসংখ্য ঘুরেফিরে দেখার মত স্থান। হাওয়াই যাওয়ার পথে রাস্তার দুপাশে দেখবেন সারি সারি নারিকেল গাছ ও কলার বাগান। সুন্দর আরেকটি স্পট হল গোল্ডেন টেম্পল, এখানে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ভাস্কর্য। অনান্য পর্যটন স্থান সমূহ পোলোনারুয়া শহর যা একাদশ শতাব্দীতে রাজধানী ছিল, পাথরের মন্দির গল বিহার, হেরিটেজ পার্ক সিগিরিয়া, বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের পবিত্র স্থান পর্বত কন্যা ক্যান্ডি, আকর্ষনীয় সমূদ্র সৈকত আজারবাইজান ও বেনটোটা।
আদম চূড়া বা শ্রীপদ নামক পর্বত চূড়াটি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এই চার ধর্মের অনুসারীদের নিকটই অতি পবিত্র স্থান। এটি শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের শ্রীপাড়া প্রদেশে অবস্থিত। এই পর্যটন স্থানটির বিশেষত হল পাহাড়ের চূড়ায় থাকা একটি পায়ের ছাপ যার প্রস্থ ২ ফুট ৬ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এই পদচিহ্নটি তাদের দেবতা শিবের, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন এই পদচিহ্নটি গৌতম বুদ্ধের, এবং মুসলমান ও খ্রিষ্টানরা বিশ্বাস করেন এটি পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ) এর।

মন্তব্যসমূহ